ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ১২:৪৫ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউগিনি

repoter

প্রকাশিত: ০৬:৪৬:৩৪অপরাহ্ন , ০৫ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ০৬:৪৬:৩৪অপরাহ্ন , ০৫ এপ্রিল ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিতে শনিবার (৫ এপ্রিল) ভোরে আঘাত হেনেছে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪ মিনিটে শুরু হওয়া এই ভূকম্পনের তীব্রতা ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী, যা পুরো দেশজুড়ে আতঙ্কের সঞ্চার করে।

ইউরোপিয়ান-মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ১, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে এটি ছিল ৬ দশমিক ৯ মাত্রার। উভয় সংস্থাই নিশ্চিত করেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ওয়েস্ট নিউ ব্রিটেন প্রদেশের কিম্বে শহর থেকে ১৯৪ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে পোমিও এলাকায়, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।

প্রথম মূল কম্পনের পর প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে আরও চারবার আফটার শক অনুভূত হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩।

ভূমিকম্পের তাৎক্ষণিক পর ইউএসজিএস সম্ভাব্য সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছিল, তবে পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তা প্রত্যাহার করা হয়।

এপর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূকম্পনের সময় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পোমিও জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি রিসোর্ট পরিচালনাকারী রাফায়েল সিসলেরিয়া জানান, ভোররাতে যখন কম্পন শুরু হয়, তখন বেশিরভাগ মানুষ ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। মুহূর্তেই সবাই ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।

পাপুয়া নিউগিনি এমনিতেই টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষস্থলে অবস্থিত, যাকে বলা হয় ‘রিং অব ফায়ার’। এই অঞ্চলটি স্বভাবতই সক্রিয় ভূকম্পন প্রবণ, এবং সেখানে মাঝেমধ্যেই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

দেশটির ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্পের ভয়াবহতা থেকেই আবারও বোঝা যায়, কিভাবে রিং অব ফায়ার অঞ্চল বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্প সংক্রান্ত দুর্যোগের অন্যতম হটস্পট হয়ে আছে।

সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশংসনীয় দ্রুততা এবং সচেতনতা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সাহায্য করেছে বলে মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক। তবে পুরো অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোর ক্ষতি নিয়ে এখনো অনুসন্ধান চলছে।

ভবিষ্যতে আরও কম্পন বা পরবর্তী সুনামি জাগরণের আশঙ্কা থাকলেও আপাতত দেশটি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরছে। সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

repoter