
ছবি: ফাইল ছবি
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল দাবি করেছে যে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ এবং প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ করার যে সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশন করেছে, তা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশের রাষ্ট্র দর্শনের বিরুদ্ধে। দলটি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনোভাবেই দেশের সংবিধান পরিবর্তন করার বা নাম পরিবর্তন করার নৈতিক অধিকার নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংবিধান সংস্কার কমিটির এই প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। দেশের জাতীয় সংগ্রামের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবমূল্যায়ন করে এমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা জাতির প্রতি অবমাননা।
দলটি আরও দাবি করে, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর এক দীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে নিজস্ব জাতীয়তা এবং আত্মপরিচয়ের ধারণা পেয়েছে। তারা বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নাম এবং তার সংবিধান দেশের জনগণের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতিফলন, যা কোনভাবেই বদলানো যেতে পারে না।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশটির স্বাধীনতা অর্জন করেছে, এবং তাদের অভিপ্রায় ছিল সমাজতন্ত্রের ভিত্তিতে একটি মুক্ত, ন্যায়সঙ্গত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এই উদ্দেশ্য এবং চিন্তা-ধারা থেকেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং রাষ্ট্রের নাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া, দলটি আরো বলে, যদি কোনো সংস্কার প্রয়োজন হয়, তবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে একটি নির্বাচিত সরকারই করতে পারে। রাজনৈতিক বিরোধীদের সমর্থন নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোই সবচেয়ে সঠিক পদ্ধতি। তাছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এমন সাংবিধানিক পরিবর্তন করতে নৈতিক অধিকার নেই।
সর্বোপরি, দলটি তাদের বিবৃতিতে সাফ জানিয়ে দেয় যে, বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং নামের পরিবর্তন দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবজ্ঞা, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
repoter