
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ১৭ দিন চিকিৎসার পর যুক্তরাজ্যে তার ছেলের বাসায় ফিরে গেছেন। তার স্বাস্থ্য কিছুটা উন্নতি হওয়ায়, ডাক্তাররা তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারি, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টায় তারেক রহমান তাকে লন্ডনের তার বাসায় নিয়ে যান। এর আগে, তারেক রহমান ব্রিকলেন মসজিদে তার প্রয়াত ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাতের জন্য আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতের মধ্যেই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট আসবে। সবকিছু ভাল হলে, তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেলেও, সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি এবং জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা নিবেন।
এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান ডা. জাহিদ। তিনি বলেন, বেগম খালেদার বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতীতে তার চিকিৎসা ঠিকভাবে না হওয়ার কারণে, তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে চিন্তা করা সম্ভব ছিল না। বর্তমানে, তার লিভার, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসসহ অন্যান্য সমস্যার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। এই চিকিৎসা আপাতত ওষুধের মাধ্যমেই দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস হসপিটালের মেডিকেল টিমের সদস্যরা মেডিকেল বোর্ডের সভায় অংশ নিয়েছিলেন এবং আরও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
এদিকে, লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, বেগম খালেদা জিয়া প্রতিদিন বাসা থেকে খাবার গ্রহণ করতেন। তার ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ জুবায়দা রহমান, নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, এবং দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমান তাকে নিয়মিত দেখাশোনা করতেন।
এছাড়া, বিএনপির নেতৃত্ব ও সংগঠনের সদস্যরা, যেমন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, প্রতিদিন হাসপাতালে উপস্থিত থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ নিতেন।
গত ৮ জানুয়ারি, বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান এবং সেদিন লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তাকে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিক’-এ ভর্তি করা হয়।
repoter