
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় যেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে কোনো ফাটল সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ মাস পর এটি প্রণয়ন প্রয়োজন ছিল কি না। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপি সম্মান জানায় ঐতিহাসিক দলিলকে, কিন্তু সেই দলিল প্রণয়ন করতে গিয়ে যেন সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়, এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেই ঐক্যকে গণঐক্যে রূপান্তরিত করে সেটিকে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে চর্চা করতে হবে। সেই ঐক্যকে ধরে রেখে জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে।"
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, "ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া প্রয়োজন। যাতে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি বা তাদের সহযোগীরা আমাদের ভেতরে অনৈক্যের বীজ বপন করতে না পারে, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।"
বিএনপি যে পরামর্শ দিয়েছে তা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তারা নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি, তবে ঘোষণাপত্র নিয়ে তাদের বিভিন্ন পরামর্শ ছিল। তিনি বলেন, "আমরা ঘোষণাপত্র নিয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছি, তবে খসড়া নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না।"
বৈঠকে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও অন্যান্য দলও অংশ নেয়। বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ যোগ দেন। অন্যান্য দলের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আহ্বান করেছিলেন, আমরা এসেছি, কথা বলেছি। আমরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছি এবং রাষ্ট্র পরিচালনা বিষয়ক চিন্তাভাবনা ভাগ করেছি।"
বৈঠক শেষে বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান, কিছু দলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা এবং পরামর্শের মাধ্যমে ঐক্য বজায় রাখার দাবি ওঠে।
repoter