
ছবি: ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
পাবনার ঈশ্বরদী শহরে যুবলীগের প্রভাবশালী কর্মী সোহেল রানা, যিনি নাটা সোহেল নামে পরিচিত, বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। এই হামলায় ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা পুরো শহরকে আতঙ্কিত করেছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী হাসপাতাল সড়কে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব এবং জাহিদুর রহমান জাহিদের বাড়িতে এই হামলা চালানো হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেন সোহেল রানা, যিনি পিস্তল, ধারালো রামদা, চাপাতি এবং লোহার পাইপসহ ১২-১৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তির সঙ্গে এসে বাড়ির দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হয়ে তারা দুই রাউন্ড গুলি চালিয়ে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। এর পর হামলাকারীরা বাড়ির জানালা ভাঙচুর করে এবং ইট-পাথর নিক্ষেপ করে।
হামলার শিকার হাবিব এবং জাহিদের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, হামলা শুরুর সময় তাদের বাড়ি বন্ধ ছিল এবং প্রথমে তালা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এতে ব্যর্থ হয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গুলি চালানো হয়। পরে বাড়ির জানালা এবং অন্যান্য স্থানে ইট-পাথর নিক্ষেপ করা হয়, যা ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং পুলিশকে জানানো হলেও হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুলিশ এখনও ঘটনার তদন্ত শুরু করেনি।
এই হামলার ঘটনা নতুন মাত্রা নিয়ে উঠে এসেছে, যেখানে একদিকে রাজনৈতিক বিবাদ, অন্যদিকে স্থানীয় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, সোহেল রানার এই হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
এদিকে বিএনপি এবং তার সমর্থকরা এখন পর্যন্ত হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে স্থানীয় রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সহিংসতা বাড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
repoter