ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০২:৫৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

বিগত সরকারের অত্যাচারের কৌশল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত: ভলকার তুর্ক

repoter

প্রকাশিত: ০৯:০৬:০১অপরাহ্ন , ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৯:০৬:০১অপরাহ্ন , ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি – জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিগত সরকারের অত্যাচারের কৌশল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে প্রায় ১,৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং এই সময় হাজার হাজার মানুষ আহত হন, যাদের অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ হন। নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু ছিল।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন নিহত হওয়ার যে হিসাব দিয়েছে, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী আহত বিক্ষোভকারীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে অস্বীকার করেছে বা বাধা দিয়েছে। চিকিৎসাকর্মীদের ভয় দেখানো হয়েছে, রোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জানান, ‘বিগত সরকারের অত্যাচারের কৌশল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল। শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আকস্মিক গ্রেপ্তার, আটক ও নির্যাতন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় সংঘটিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যে সাক্ষ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, তা ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং লক্ষ্যভিত্তিক হত্যার এক ভয়ংকর চিত্র তুলে ধরে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল হতে পারে।’

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সহিংস উপাদানগুলো বিক্ষোভকারী ও অন্যান্য বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে একটি তদন্ত দল পাঠায়। দলে ছিলেন মানবাধিকার তদন্তকারী, ফরেনসিক চিকিৎসক এবং অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। তারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করেন। অন্তর্বর্তী সরকার এই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করেছে, প্রয়োজনীয় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে এবং বিস্তৃত ডকুমেন্টেশন সরবরাহ করেছে।

repoter