ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৩:৪২ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

বিরল মানবিক গুণের অধিকারী ডা. শরিফুল ইসলামের স্মরণসভা

repoter

প্রকাশিত: ১১:০১:১১অপরাহ্ন , ০৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১১:০১:১১অপরাহ্ন , ০৮ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিভেনটিভ অ্যান্ড স্যোসাল মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরিফুল ইসলামকে ‘বিরল মানবিক গুণের অধিকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চিকিৎসক ও শিক্ষকরা। শনিবার বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে তার স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ডা. শরিফুল ইসলাম গত ২২ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন। তাকে ময়মনসিংহ শহরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্মরণসভায় প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘ডা. শরিফুল ইসলাম চিন্তা, জ্ঞান ও বোঝার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিলেন। তার দুয়ার সবার জন্য খোলা ছিল। শিক্ষক হিসেবে তিনি বায়োস্ট্যাটিসটিক্সের মতো জটিল বিষয়ও সহজভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে তার অবদান ধারাবাহিকভাবে রক্ষা করাই হবে তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো।’

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, ‘ডা. শরিফুল ইসলাম যা বিশ্বাস করতেন, তা কর্মে প্রতিফলিত করেছেন। আমি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে উপকৃত হয়েছেন। তার সহযোগিতায় আমি দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা সম্পন্ন করতে পেরেছি।’

বক্তারা আরও বলেন, ডা. শরিফুল ইসলাম ছিলেন সাদামনের মানুষ। তিনি অমায়িক, নিরহংকার ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি চ্যারিটি ধরণের কাজ করতে পছন্দ করতেন। বিলুপ্তপ্রায় গাছ রোপণ ও ফলের গাছ লাগানো তার প্রিয় কাজ ছিল, যাতে মানুষ ও পাখিরা ফল খেতে পারে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান, বিশেষ করে গবেষণা ও থিসিসের উন্নয়নে তার অভাব পূরণ হওয়ার নয়। তিনি মানুষের সমালোচনার কথা চিন্তা করতেন না। প্রভাব বা প্রতাপের ধারণা তার জীবনে ছিল না।’

স্মরণসভায় ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রয়াতের বড় ভাই অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. শাহ আব্দুস সালাম, বিএসএমএমইউর প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রিভেনটিভ অ্যান্ড স্যোসাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক।

ডা. শরিফুল ইসলামের মৃত্যু চিকিৎসা জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার মানবিক গুণ, জ্ঞান ও অবদান চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে বলে স্মরণসভায় উপস্থিত সবাই মত প্রকাশ করেন।

repoter