
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বৈসাবি উৎসবের শিকড় রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ সংস্কৃতিতে। থাইল্যান্ড, মায়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোতে যেভাবে নববর্ষ ‘সংক্রান’ নামে উদযাপিত হয়, তেমনি মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাই উৎসব, চাকমাদের বিঝু ও ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসব মিলে পার্বত্য চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে বৈসাবি উৎসবের ঐতিহ্য।
চৈত্র সংক্রান্তির দিনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নানা আয়োজনে। মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রোসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন নামে ও রীতিতে উদযাপন করে এই উৎসব। রাজধানী ঢাকার বেইলি রোড পার্বত্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে রমনা পার্কের লেকে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে রাজধানীতে বসবাসরত পাহাড়িদের বর্ষবরণ।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জনপদে শুরু হবে বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, চাংক্রান ও বিহু উৎসবের নানা আয়োজন। চাকমারা ফুলবিঝু, মূল বিঝু ও গোজ্যেপোজ্যে পালন করে, ত্রিপুরারা হারি বৈসু, বৈসুমা ও বিসি কতাল নামে তিনদিন ব্যাপী উৎসব পালন করে। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবে পানিখেলা ও জলকেলির আয়োজন থাকে, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষুতে ঘিলা খেলা ও পাজন খাওয়ার আয়োজন করে।
অন্যদিকে ম্রো সম্প্রদায় পালন করে চাংক্রান উৎসব, যেখানে থাকে বাঁশি বাজানো, পানিখেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ভিন্ন মাত্রা। বিহু উৎসব উদযাপন করে আসামের চুটিয়া উপজাতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু সম্প্রদায়।
চৈত্র সংক্রান্তির এই উৎসবগুলো পাহাড়ি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। বর্ণিল সাজ-পোশাক, ঐতিহ্যবাহী খাবার, লোকগান ও নৃত্যের মাধুর্যে রাঙিয়ে তোলে পুরো অঞ্চলকে। ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই উৎসব, যা দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর মাঝে ঐক্যের বার্তা বহন করবে।
repoter