ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ১২:৫০ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড

repoter

প্রকাশিত: ০২:০৫:০৩অপরাহ্ন , ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০২:০৫:০৩অপরাহ্ন , ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ইসলামাবাদ, ১৭ জানুয়ারি — পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবি ১৯ কোটি পাউন্ড দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা নামে পরিচিত এই মামলায় শুক্রবার আদালত ইমরান খানকে ১৪ বছরের এবং বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। পাশাপাশি তাদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

জিও নিউজ ও ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রকল্পে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আদালত ইমরান খানকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং বুশরা বিবিকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেছে।

ইমরান খান, যিনি ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি আল-কাদির ট্রাস্টের নামে জমি গ্রহণ করে তা একটি দাতব্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার এবং আর্থিক দুর্নীতি করার অভিযোগ ওঠে। সম্পদশালী ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজের কাছ থেকে জমি নেওয়া এবং পরে প্রকল্পটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার মাধ্যমে ২৩৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

২০২২ সালে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তিনি ক্ষমতা হারান। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়, যদিও অনেক মামলা স্থগিত করা হয়েছে। তবে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা বিশেষভাবে আলোচিত ছিল। মামলার তদন্তে শতাধিক শুনানি এবং হাজার পৃষ্ঠার প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল ফারিদ চৌধুরী এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই মামলায় কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই এবং এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মজিদ নিঝামি মনে করেন, এই রায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এবং রাজনৈতিক আলোচনাকে জটিল করবে।

এই রায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইমরান খান এবং তার সমর্থকেরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন, যা পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

repoter