
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে একটি ইতিবাচক ধারাবাহিকতার প্রতিফলন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের এ প্রবণতা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
২০২৪ সালের এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ যেখানে ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২৩ সালের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ১.৩৯ বিলিয়ন ডলার। এই তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহে বছরের ব্যবধানে বড়সড় বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
২০২৪ সালের পুরো এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় ছিল ২.০৪ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০২৫ সালের এপ্রিলের মাত্র ২১ দিনের মধ্যেই এই অঙ্কে পৌঁছে গেছে ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের চেয়ে দ্রুতগতিতে রেমিট্যান্স প্রবাহের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে এপ্রিলের ২১ তারিখেই একদিনে দেশে এসেছে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এই প্রবণতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত মোট প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছে ২৩.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় (১৮.৪৭ বিলিয়ন ডলার) ২৮.৬ শতাংশ বেশি।
এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সহায়ক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল করতে সহায়তা করছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এ ছাড়াও প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতেও এ প্রবাহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা, বৈধ চ্যানেলের ব্যবহার উৎসাহিত করা, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বিস্তৃতি এবং ব্যাংকিং চ্যানেল সহজীকরণের ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহে এমন ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত থাকলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ওপর দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
repoter