ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৩:৫৭ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

হাইকোর্টের রুল: সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না

repoter

প্রকাশিত: ০৯:৫৭:৩৭অপরাহ্ন , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৯:৫৭:৩৭অপরাহ্ন , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্ট সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব এবং জাতীয় সংসদের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনী আনা হয়, যার মাধ্যমে সংসদীয় শাসনপদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনপদ্ধতি চালু করা হয় এবং একদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনী আইন পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও শাসন কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতি বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল। এই সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ চতুর্থ সংশোধনী আইনকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করার বিষয়ে রুল জারি করেছে।

এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির, এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা। আদালত এখন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জাতীয় সংসদের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলেছে।

১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনী বাংলাদেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থার সূচনা করেছিল, যা গণতন্ত্রের মূলনীতি এবং দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ রয়েছে। রিটে এসব বিষয় উল্লেখ করে চতুর্থ সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এখন আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই আইনের বৈধতা নিয়ে তাদের মতামত জানতে চেয়েছে।

এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রশ্ন, কারণ এটি দেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধান অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কিত মৌলিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

repoter