ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০১:৪৬ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান রাশিয়ার

repoter

প্রকাশিত: ০৬:৫৩:৪০অপরাহ্ন , ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৬:৫৩:৪০অপরাহ্ন , ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার দাবি করেছেন যে, রাশিয়ার একটি ড্রোন চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের ধ্বংসপ্রাপ্ত চতুর্থ ইউনিটের সুরক্ষা কাঠামোতে আঘাত হেনেছে, যার ফলে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, এই হামলার ফলে চেরনোবিলের সুরক্ষা কাঠামোর একটি অংশ ধ্বংস হয়েছে, যা একটি বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারত।

তবে রাশিয়ার ক্রেমলিন এই অভিযোগটি অস্বীকার করেছে এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে ‘উস্কানি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, "রুশ সামরিক বাহিনী এমন কিছু করেনি, এটি সম্ভবত কিয়েভ সরকারের আরেকটি প্ররোচনা।" তিনি আরো বলেন, "এ ধরনের উস্কানি কিয়েভ সরকার প্রায়ই দিয়ে থাকে, এবং কখনো কখনো এমনটি করা থেকে তারা সরে আসে না।"

এই ঘটনার পটভূমিতে, চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে এমন সময়ে, যখন জার্মানির মিউনিখে বৈশ্বিক নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে মার্কিন, ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তারা ইউক্রেন যুদ্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করছেন।

হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মিউনিখ সম্মেলনে জানান, ড্রোন হামলার কারণে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের সুরক্ষা কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, "সেখানে আগুন লেগেছিল, তবে তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।" তিনি আরও এই হামলাকে ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, যে সুরক্ষা কাঠামোটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছিল, তার ক্ষতির ফলে পুরো বিশ্বে বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এসময়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "যারা মানবতার প্রকৃত নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয়, তাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রাশিয়াকে অবশ্যই তার কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।"

এদিকে, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে যে, হামলার পরেও চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে বিকিরণের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে এবং কেন্দ্রটি নিয়মিত পর্যবেক্ষণের অধীনে রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স ও আনাদোলু

repoter