ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ১২:৫৪ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে কঠিন হবে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য

repoter

প্রকাশিত: ০৫:৩১:৩৫অপরাহ্ন , ১৭ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ০৫:৩১:৩৫অপরাহ্ন , ১৭ এপ্রিল ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই তালিকায় আরও ছয়টি দেশের নাম রয়েছে—কসোভো, কলম্বিয়া, মিশর, ভারত, মরক্কো এবং তিউনিসিয়া। নতুন এই তালিকা কার্যকর হলে ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে এসব দেশের নাগরিকদের আশ্রয় পাওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে ইউরোপে বসবাসরত এসব দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো সহজতর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইইউর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে সন্তোষজনক অগ্রগতি বিবেচনায় এনে তাদের ‘নিরাপদ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে এসব দেশের নাগরিকরা ইউরোপে রাজনৈতিক নিপীড়নের আশঙ্কার কথা বলে আশ্রয় চাইলে সেই আবেদন দ্রুততার সঙ্গে খারিজ করার সুযোগ তৈরি হবে।

তবে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তালিকাটি অনুমোদনের পরই এটি কার্যকর হবে। প্রস্তাবিত তালিকার ব্যাপারে সমালোচনা করেছে একাধিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মানবিক পরিস্থিতির যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই তাড়াহুড়ো করে আশ্রয় আবেদন নিষ্পত্তির পথ সুগম করবে এবং এতে অনেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজ দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হবেন।

ইইউর অভিবাসনবিষয়ক কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেছেন, অনেক সদস্য দেশ আশ্রয় আবেদন সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে তারা চায়, নিরাপদ দেশগুলোর আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে অন্য আবেদনকারীদের দিকে মনোযোগ দেওয়া হোক। তার ভাষায়, এ প্রক্রিয়া অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে কট্টর-ডানপন্থি রাজনৈতিক দলের উত্থান এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনে তাদের বিজয়ের পর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতি প্রণয়নের দাবি ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠেছে। এসব দলের চাপেই ব্রাসেলসকে এমন একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে নিরাপদ দেশ নির্ধারণের জন্য একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে প্রতিটি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে একটি নির্ধারিত মানদণ্ডে যাচাই করে তালিকা তৈরি করা হবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতোমধ্যে ইউরোপে বসবাসরত অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে যেসব অভিবাসী এখনো স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাননি বা আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে।

ইইউর এই উদ্যোগ অভিবাসন নীতির নতুন এক মোড় বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। একদিকে এটি ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর অভিবাসনজনিত চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে, অন্যদিকে এটি বহু অভিবাসনপ্রত্যাশীর জন্য নতুন এক সংকটের সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

repoter