ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৩:৪৮ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

জাহাজে সাত খুন: বিচারের দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি

repoter

প্রকাশিত: ০৮:২৮:৪১অপরাহ্ন , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৮:২৮:৪১অপরাহ্ন , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরে সারবাহী জাহাজে সাতজনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং বিচারসহ অন্যান্য দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে সারাদেশে পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাবেন।

মো. শাহ আলম বলেন, বাগেরহাটের জগদীশ মণ্ডলের ছেলে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান একাই কীভাবে একটি বিশাল জাহাজ চালিয়ে সাতজন স্টাফকে হত্যা করেছেন, তা সন্দেহজনক। তিনি দাবি করেন, এ ঘটনার পেছনে অন্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তিনি সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার আসল কারণ এবং অপরাধীদের শনাক্ত করার দাবি জানান।

এছাড়া, নৌযান শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করেছেন, সারাদেশে ১০ হাজার ছোট পণ্যবাহী নৌযান এবং লক্ষাধিক শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ঘটনার শিকার শ্রমিকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং পণ্যবাহী নৌযানের ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

চাঁদপুরে এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত আকাশ মণ্ডল বর্তমানে নৌ পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চাঁদপুর নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আকাশ এক বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং আট মাস আগে এমভি আল বাখেরা জাহাজে সুকানির চাকরি নেন। তিনি আরও জানান, খুন হওয়া জাহাজ মাস্টার গোলাম কিবরিয়ার মাধ্যমেই আকাশ জাহাজে কাজ পেয়েছিলেন।

জাহাজের মালিক মাহবুব মোরশেদ জানান, মাস্টার গোলাম কিবরিয়া এবং ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন মোল্লাকে তারা চাকরি দিয়েছিলেন। বাকি স্টাফরা গোলাম কিবরিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

এদিকে, চাঁদপুর নৌ রুটে এই ঘটনার পর যাত্রী ও শ্রমিকদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা দাবি করেছেন, নৌযান চলাচলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা দরকার। চাঁদপুর নৌ পুলিশের সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান অবশ্য এ ঘটনাকে ব্যক্তিগত আক্রোশের ফলাফল বলে দাবি করেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, নদীতে কোনো ধরনের নৌযান নিরাপত্তাহীনতায় নেই এবং নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

নৌযান শ্রমিকদের এই কর্মবিরতির ফলে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার এবং শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক নেতারা।

repoter