
ছবি: ফাইল ছবি
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ ১৫ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে খালেদা জিয়াসহ সকল আসামিকে খালাস দিয়েছে। এই রায়ের পর বিএনপিপন্থী আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন জানিয়েছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন আর জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত বাধা নেই।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও অন্য পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ ছিল যে, এতিমদের সহায়তার জন্য বিদেশ থেকে পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেয়, যেখানে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া, তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট সেই আপিল খারিজ করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর খালেদা জিয়ার সাজা ১০ বছর বাড়িয়ে রায় দেয়। এরপর, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ খালেদা জিয়া পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করার আদেশ দেয়।
তবে, গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শুনানির পর, ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেয় যে, খালেদা জিয়া ও অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ প্রমাণিত হয়নি এবং তাই তাদের খালাস দেওয়া হয়।
এদিকে, কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদও তাদের আপিলের মাধ্যমে ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রাখার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক আপিল করেছিলেন, যা মঙ্গলবার শুনানি হয়েছে।
আজকের এই রায়ের ফলে খালেদা জিয়া ও অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ বাতিল করা হলো এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আইনগতভাবে আর কোনো বাধা রইল না।
repoter