ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৩:১৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আ. লীগকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব

repoter

প্রকাশিত: ০৮:৪৮:০৬অপরাহ্ন , ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৮:৪৮:০৬অপরাহ্ন , ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি – আওয়ামী লীগকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য দলটিকে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম এই কথা বলেন। তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং কোনোভাবেই সহিংসতার সুযোগ দেওয়া হবে না।

ফেব্রুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ আর কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সহ্য করবে না। যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, তারা যদি কোনো প্রতিবাদ বা সমাবেশের চেষ্টা করে, তবে জনগণ কঠোর জবাব দেবে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে হলে প্রথমে গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং প্রকাশ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তার মতে, রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে দলটিকে ‘ক্লিন ইমেজ’ নিয়ে আসতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা এখনো জুলাই-আগস্টের গণহত্যার দায় স্বীকার করেনি। বরং তারা মিথ্যা প্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি প্রশ্ন করেন, এতদিনেও আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা কর্মী কি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অনুতপ্ত হয়েছে? কেউ কি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছে? বরং, তারা বরাবরই ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

শফিকুল আলম আরও বলেন, ৭১ জন শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কখনো বলেনি যে তারা এই হত্যাকাণ্ড মেনে নেয় না। বরং দলটি বরাবরই সত্যকে আড়াল করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ এখনো মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং নিজেদের অপরাধ ঢাকতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে।

এদিকে, আজ বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে শফিকুল আলম কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। তিনি লেখেন, আওয়ামী লীগের পতাকাতলে কেউ যদি অবৈধ বিক্ষোভ করার সাহস দেখায়, তবে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি বলেন, এই সরকার কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করবে না। যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আসতে হবে। যদি আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে চায়, তবে তাদের অবশ্যই নিজেদের অপরাধের দায় স্বীকার করতে হবে এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায়, তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানতে চান, সরকার এই বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। উত্তরে প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কোনো ধরনের উসকানি, মিথ্যাচার বা সহিংসতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সরকারের এই কঠোর অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের এই কঠোর মনোভাব দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

repoter