ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৩:২৭ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক

repoter

প্রকাশিত: ১১:০৪:০২অপরাহ্ন , ২৯ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১১:০৪:০২অপরাহ্ন , ২৯ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে মানবিক জেলা প্রশাসক হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা ছিল, আছে এবং থাকবে।’

শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত পঁচিশ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।

উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদদের জাতি হাজার বছর গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।’ এ সময় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বলেন, ‘আমাদের বীর সন্তানেরা যেমন ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য, ১৯৭১ সালে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, ঠিক তেমনই ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে তারা বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’

তিনি শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মুগ্ধসহ অন্য শহীদদের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ‘যারা শহীদ হয়েছেন, তারা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে নিশ্চিত করছি— শহীদ পরিবারের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা থাকবে।’

অনুষ্ঠানে শহীদ কিশোর আদিলের মাতা আয়েশা আক্তার বলেন, ‘আগেও ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি একজন ভালো মানুষ। আমাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা মন দিয়ে শুনেছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, আগামীতেও আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা তার এই উদ্যোগে খুবই খুশি।’

শহীদ কিশোর আদিলের পিতা মো. আবুল কালাম আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না, কিন্তু জেলা প্রশাসক আমাদের যেভাবে সম্মান জানালেন এবং ঈদের আগে আমাদের ডেকে নিয়ে ইফতার করালেন, তাতে কিছুটা হলেও মনে প্রশান্তি এসেছে। তিনি একজন আন্তরিক মানুষ এবং শহীদ পরিবারের প্রতি তার ভালবাসা আমাদের স্পর্শ করেছে।’

ঈদ উপহার হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে চাল, লাচ্ছা সেমাই, সয়াবিন তেল, ডাল, লবণ, নুডলস ও গুড়া দুধসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

জেলা প্রশাসক জানান, এই সহায়তা শুধু একটি ইভেন্ট নয়, বরং শহীদ পরিবারের প্রতি তাঁর ও প্রশাসনের দায়বদ্ধতার একটি ছোট প্রতিচ্ছবি। তিনি ভবিষ্যতেও শহীদ পরিবারদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

repoter