ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৩:১৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

জুনেই আইএমএফের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

repoter

প্রকাশিত: ০৭:০৫:৫৭অপরাহ্ন , ১৩ মে ২০২৫

আপডেট: ০৭:০৫:৫৭অপরাহ্ন , ১৩ মে ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

বিনিময় হারের পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ অবশেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের নতুন কিস্তি পেতে যাচ্ছে। আগামী জুন মাসে দশমিক বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের আওতায় একসঙ্গে চতুর্থ পঞ্চম কিস্তি হিসেবে দশমিক বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এই অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে আগামী ১৪ মে, বুধবার। সেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে আইএমএফের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে, যার পরেই উভয় পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে ডলার-টাকার বিনিময় হারে নমনীয়তার বিষয়ে সম্মত হওয়ার পরই এই ঋণ ছাড়ের পথ খুলে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে যে বিনিময় হার পদ্ধতি অনুসরণ করছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। এই পদ্ধতিতে বাজারের অবস্থান অনুযায়ী বিনিময় হারে কিছুটা নমনীয়তা আনা হয়। কিন্তু বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে আগে মতানৈক্য ছিল, যার ফলে চতুর্থ কিস্তির ঋণ দীর্ঘ সময় ধরে আটকে ছিল। এবার সেই জট খুলে যাওয়ায় জুন মাসে একযোগে দুই কিস্তির অর্থ ছাড় করা হচ্ছে।

২০২৩ সালে আইএমএফ বাংলাদেশকে দশমিক বিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ প্যাকেজ অনুমোদন দেয়, যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাত কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। এই ঋণ প্যাকেজের আওতায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রথম তিন কিস্তিতে ২.৩১ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে, যার সর্বশেষ কিস্তি ছাড় হয় ২০২৪ সালের জুন মাসে।

নিয়ম অনুযায়ী, চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা ছিল ২০২۳ সালের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু আইএমএফের আরোপিত কিছু শর্ত এবং নীতিগত অমিলের কারণে তখন এই কিস্তি স্থগিত রাখা হয়। সেই অর্থ এবার পঞ্চম কিস্তির সঙ্গে একত্রে ছাড় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই ঋণ ছাড় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতা আনবে এবং বিনিময় হারের ওপর চাপ কমাবে। একই সঙ্গে এটি দেশের অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক বার্তা দেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তবে ঋণের এই কিস্তি ছাড়ের পরও আইএমএফের বিভিন্ন নীতিগত শর্ত মানতে বাংলাদেশকে কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে বলে অর্থনীতিবিদদের ধারণা।

উল্লেখ্য, আইএমএফ যে শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা, বিনিময় হার সংস্কার, মুদ্রানীতি পুনর্বিন্যাস এবং বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। এসব শর্ত পূরণে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কর কাঠামো সংস্কার, ভর্তুকি হ্রাস এবং বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে নমনীয় বিনিময় হার চালু করা।

চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে দেশের অর্থনীতি যখন বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, তখন এই আইএমএফ ঋণের কিস্তি ছাড় অর্থনীতিকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। তবে ভবিষ্যতে আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে আইএমএফের প্রস্তাবিত সংস্কারমূলক পদক্ষেপ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

repoter