ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০২:৩৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

লাইটার জাহাজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকারের আইনি লড়াই: নীতিমালা বাস্তবায়নে বারবার বাধা

repoter

প্রকাশিত: ০৩:৫৮:৩৩পূর্বাহ্ন, ১৪ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ০৩:৫৮:৩৩পূর্বাহ্ন, ১৪ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

গভীর সমুদ্রে নোঙর করা মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে একদল অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। লাইটার জাহাজে পণ্য বোঝাই করার পর সেগুলো দিনের পর দিন সমুদ্রে ভাসিয়ে রেখে তারা বাজার অস্থির করে তোলে। এরপর পণ্যের দাম বাড়লে সেগুলো খালাস করে বিপুল মুনাফা করে এই সিন্ডিকেট। এই অপকর্ম বন্ধ করতে সরকার ২০১৩ সাল থেকে নীতিমালা প্রণয়নের চেষ্টা চালালেও লাইটার জাহাজ মালিক ও আমদানিকারকদের বিরোধিতায় বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।

২০২১ সালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি গেজেট জারি করে নীতিমালা বাধ্যতামূলক করলেও লাইটার জাহাজ মালিকরা হাইকোর্টে রিট করে তা স্থগিত করে। সরকারের আপিলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখায় নীতিমালা কার্যকর করা যায়নি। ২০২৩ সালের আগস্টে নতুন নীতিমালা চালু করা হয়, যাতে লাইটার জাহাজগুলোকে দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু এবারও আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে নীতিমালা।

গত নভেম্বরে ১৭টি লাইটার জাহাজ কোম্পানি ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে রিট করে নীতিমালা স্থগিত করে। আদালত নীতিমালা বাতিলের কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। তবে নৌপরিবহন অধিদপ্তর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করতে আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে নীতিমালা কার্যকর করার পথ প্রশস্ত করেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, এই নীতিমালার মাধ্যমে বাজার অরাজকতা, একচেটিয়া আধিপত্য এবং কায়েমী স্বার্থ থেকে মুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে, লাইটার জাহাজ মালিকদের দাবি, এই নীতিমালা একটি ছোট সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা প্রতিযোগিতাকে দমন করে কিছু মানুষের মুনাফা নিশ্চিত করবে।

কো-অর্ডিনেশন সেলের কনভেনার সাঈদ আহমেদ বলেন, নীতিমালা বাস্তবায়নের পর সমুদ্রে আটকে থাকা লাইটার জাহাজের সংখ্যা কমেছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কো-অর্ডিনেশন সেলের বরাদ্দ ছাড়া কোনো লাইটার জাহাজ পণ্য পরিবহন করতে পারবে না। তবে নিজস্ব লাইটার জাহাজ থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো শর্তসাপেক্ষে অনুমতি পাবে।

এই আইনি লড়াইয়ে সরকারের জয়ী হওয়া জরুরি, কারণ লাইটার জাহাজ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা অব্যাহত থাকবে।

repoter