
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫১ মিনিটে তিনি ৮ নম্বর গেট দিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মীরা তার ইমিগ্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছেন।
সাত বছর পর বেগম খালেদা জিয়া আবার লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন। এর আগে, মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেন। তার সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি। যাত্রাপথে দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। বাসার সামনে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে ধীরে ধীরে বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে যায় তার গাড়ি বহর।
বিমানবন্দরে পৌঁছে সরাসরি টারমাকে যান বেগম জিয়া। তাকে বহন করতে প্রস্তুত ছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, যা কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে। এই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সোমবার ঢাকায় এসে পৌঁছায়। খালেদা জিয়াকে নিয়ে সেটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই লন্ডনযাত্রা দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও স্বাস্থ্যগত কারণে খালেদা জিয়া বেশ কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিলেন। এবার লন্ডনে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন তিনি। তার এই যাত্রা ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আবেগের সৃষ্টি হয়েছে।
বেগম জিয়ার এই যাত্রায় তার পরিবারের সদস্যরা ও দলীয় শীর্ষ নেতারা তাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন। দলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন স্থানে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে অবস্থান করেন। অনেকেই স্লোগান দিয়ে দলীয় চেতনা প্রকাশ করেন।
লন্ডন পৌঁছে বেগম খালেদা জিয়া সেখানে কিছুদিন অবস্থান করবেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয় করবেন বলে জানা গেছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে পুনরায় অংশগ্রহণ করবেন।
বেগম জিয়ার লন্ডন যাত্রা বিএনপির রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দীর্ঘ সাত বছর পর দলের চেয়ারপারসনের বিদেশ যাত্রা দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এবং সমর্থকদের মনোবলে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
repoter