
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে প্রথমবারের মতো রাজস্ব খাতের কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মাউশির ৯টি অঞ্চলের পরিচালক পদগুলো সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সেসিপ) থেকে মুক্ত হয়েছে। এ পদায়ন শিক্ষাব্যবস্থায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের ছয়জন অধ্যাপককে মাউশির ৬টি অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে পদায়ন করেছে। এই পদায়নটি গত কয়েক বছরে মাউশি পরিচালিত অঞ্চলের জন্য একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। বাকি তিনটি অঞ্চলে খুব শিগগিরই পদায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঢাকা অঞ্চলে অধ্যাপক (অর্থনীতি) ফকীর মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, বরিশাল অঞ্চলে অধ্যাপক (গণিত) মো. ওমর ফারুক, রংপুর অঞ্চলে অধ্যাপক (ইতিহাস) মো. আমির আলী, চট্টগ্রাম অঞ্চলে অধ্যাপক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) মো. ফজলুল কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলে অধ্যাপক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) মোহা. আছাদুজ্জামান এবং রাজশাহী অঞ্চলে অধ্যাপক (বাংলা) ড. মো. আনিস-আর-রেজা এই দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, মাউশির আঞ্চলিক পরিচালকের পদগুলো সেসিপ প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হতো। ফলে, প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা জটিলতা দেখা দিত। বিশেষত, সেসিপের অধীনে পদায়িত পরিচালকদের বেতন-ভাতা উত্তোলন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতো। তবে, রাজস্ব খাতের কর্মকর্তাদের এই পদে পদায়ন হওয়ায় এসব সমস্যা দূর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এখন, মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে রাজস্ব খাতের কর্মকর্তারা দায়িত্ব গ্রহণ করায় এর প্রশাসনিক কার্যক্রমে আরো স্বচ্ছতা এবং গতিশীলতা আসবে। এর ফলে, মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে এবং পূর্ববর্তী জটিলতা দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পদায়নের ফলে, শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজের গতি বাড়বে এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের দায়িত্ব পালনে আরও দক্ষতা আসবে। শিগগিরই অন্যান্য অঞ্চলেও পদায়ন সম্পন্ন হবে, যা পুরো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
repoter