ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ১২:৪৮ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

মির্জা ফখরুল: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাথা নত করবে না বিএনপি

repoter

প্রকাশিত: ০৯:৪৩:২০অপরাহ্ন , ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৯:৪৩:২০অপরাহ্ন , ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

ফাইল ছবি

ছবি: ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে। তবে এই ষড়যন্ত্রের মুখে বিএনপি কখনোই মাথা নত করবে না। বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে একটি প্রকৃত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠ চত্বরে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই মির্জা ফখরুল বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। অসংখ্য ছাত্র-যুবককে হত্যা করা হয়েছে, হাজারো ছাত্র-ছাত্রী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্র ও জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনের কারণেই বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে।

১৯৭৫ সালের আগের আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন ব্যবস্থা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন দুর্নীতি ও লুটপাট চরমে পৌঁছায়। তারা বাকশাল কায়েম করে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করে। তবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

ছাত্রদলের ভূমিকা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রদলকে সবসময় জ্ঞানভিত্তিক চর্চা ও রাজনীতি করতে হবে। বিগত বছরগুলোতে ছাত্রদল অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। মামলা-মোকদ্দমার শিকার হয়ে তাদের কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আজকের ছাত্ররাই আগামী দিনে দেশের পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দেবে।

ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কায়েস। এছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলীসহ দলটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল ছাত্রসমাজকে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আজকের ছাত্রসমাজই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তুলবে। বৈষম্য, দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত একটি বাংলাদেশ গঠনে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, জনগণের সরকারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব হলো ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করা। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাতিকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে ছাত্রসমাজকে অবদান রাখতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা ছাত্রদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বক্তৃতায় অংশগ্রহণকারীরা সরকারের নীতি-নৈতিকতা ও কর্মপদ্ধতির সমালোচনা করেন এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে জানান, বিএনপি কখনোই জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই—জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশকে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করা।

সমাবেশটি ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর একটি ঐতিহাসিক উদযাপন হিসেবে চিহ্নিত হয়। বক্তারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ছাত্রসমাজের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

repoter