
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, সংস্কার ও স্বৈরাচারের বিচারের নামে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যাবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সময়কে দীর্ঘায়িত করার কোনো প্রচেষ্টাই গ্রহণযোগ্য নয়।
বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাহে রমজানের ইফতার মাহফিল ও বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ইউনুস আহমদ বলেন, "টেকসই ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ২৪-এর রক্তমাখা আন্দোলনের প্রধান দাবিই ছিল সংস্কার। একইসাথে স্বৈরাচারের বিচার হাজারো মানুষের রক্তের ঋণ পরিশোধের বিষয়।"
তিনি আরও যোগ করেন, "স্বৈরাচারের বিচার অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু সংস্কার ও বিচারের নামে নির্বাচনহীন অন্তর্বর্তী সময়কে দীর্ঘায়িত করার কোনো প্রচেষ্টাই গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশে একযুগেরও বেশি সময় ধরে জনগণের নির্বাচিত সরকার নেই—এটি অকল্পনীয়। তাই স্বৈরাচারের পতনের পরেও কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির সুযোগ নেই।"
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, "সংস্কার, স্বৈরাচারের বিচার এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন—এই বিষয়গুলো সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে কোনোভাবেই নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করা যাবে না। এতে করে অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছার ওপর জনমনে প্রশ্ন তৈরি হবে।"
সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারূফ এবং মাওলানা এবিএম জাকারিয়া।
ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার ও বিচারের প্রক্রিয়া চলমান রাখার পাশাপাশি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না।
repoter