
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের বাড়িটির দ্বিতল ভবনে হামলা চালানো হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজার থেকে ছাত্র-জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড হয়ে ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই, বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার দোতলা ভবন হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে ভাঙতে শুরু করে। পরে তার ছোট ভাই শাহাদাত মির্জার ভবনেও হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট বিকেলে ওই বাড়ির পাঁচটি বসতঘর ও দুটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা এমরান হোসেন জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের হামলার পর কাদের মির্জা তার ভবন পুনরায় সংস্কার করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় দফায় আবারও হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হলো। হামলার সময় পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে ছিলেন না। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে কাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে আছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, কোম্পানীগঞ্জের অনেক মানুষ ওবায়দুল কাদের, তার ভাই আব্দুল কাদের মির্জা এবং তাদের অনুসারীদের দ্বারা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ থেকেই আজকের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, এই হামলা ও ভাঙচুরে সকল স্তরের ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভবিষ্যতে যদি কোনো সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ফ্যাসিবাদী আচরণ করে, তাহলে তাদের পরিণতিও একই রকম হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিমের মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
repoter