ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০২:৫৬ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের নির্দেশ: চার মন্ত্রণালয়ের সেবা ডিজিটাইজড করতে হবে

repoter

প্রকাশিত: ০২:৪২:৫২পূর্বাহ্ন, ০৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ০২:৪২:৫২পূর্বাহ্ন, ০৮ মার্চ ২০২৫

ফাইল ছবি

ছবি: ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চারটি মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও নাগরিক সেবা ডিজিটাইজড করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ভূমি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। শনিবার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য মন্ত্রণালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ কর্মপদ্ধতি অটোমেশন, শতভাগ ইলেক্ট্রনিক ফাইল ব্যবহার, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি) বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সেবা প্রদানের প্রক্রিয়া আরও সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ডেটার আন্তঃক্রিয়াশীলতা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ম্যানুয়ালি ফর্ম পূরণের পরিবর্তে সিকিউর এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে করে নাগরিক সেবা প্রদানের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল ও নিরাপদ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ডিজিটাল সিস্টেম গড়ে তুললেও এগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত নয়। এর ফলে ডেটা সাইলো (বিচ্ছিন্নতা) তৈরি হয়েছে, যা সেবা প্রদানের গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। সরকারের এখন জরুরি দায়িত্ব হলো এই সাইলোগুলোর মধ্যে আন্তঃক্রিয়াশীলতা নিশ্চিত করা।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী তিন মাসের মধ্যে পাইলট প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। এই প্রোগ্রামের আওতায় প্রধান মন্ত্রণালয়গুলোতে ডিজিটাল সিস্টেমের সম্প্রসারণ ও আন্তঃসংযোগ নিশ্চিত করা হবে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, "এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা নাগরিক সেবাকে আরও সহজলভ্য ও দক্ষ করে তুলতে পারব।"

এই ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমি রেকর্ড, ট্যাক্স সংগ্রহ, বাণিজ্যিক লাইসেন্সিং এবং যানবাহন নিবন্ধনের মতো সেবাগুলো দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে প্রদান করা সম্ভব হবে। এছাড়াও, ডেটা আন্তঃক্রিয়াশীলতা নিশ্চিত হলে নাগরিকদের এক মন্ত্রণালয় থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য সরবরাহের প্রয়োজনীয়তা কমবে, যা সময় ও সম্পদ বাঁচাবে।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের এই নির্দেশনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

repoter