ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৪:০১ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

প্রতারণার মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রি করে ১২১ কোটি টাকা আয়!

repoter

প্রকাশিত: ১০:৫২:৩০অপরাহ্ন , ০৪ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১০:৫২:৩০অপরাহ্ন , ০৪ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

প্রতারণার মাধ্যমে দেশি গরু-ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় পশু বলে চালিয়ে উচ্চমূল্যে কোরবানির হাটে বিক্রি করে ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা আয়ের অভিযোগ উঠেছে সাদিক এগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একরামুল হাবীব।

এর আগে সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগ থেকে ১৩৩ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলার প্রধান আসামি ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ডিআইজি একরামুল হাবীব জানান, ইমরান ও তার সহযোগী তৌহিদুল আলম জেনিথ এবং তাদের প্রতিষ্ঠান সাদিক এগ্রো লিমিটেড সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধ্যমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে টাকা পাচার করেছেন।

ব্রাহমা জাতের গরু আমদানির ক্ষেত্রেও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ইমরানের বিরুদ্ধে। ডিআইজি জানান, কাস্টমস হাউসে আটক এবং সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে হেফাজতে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু জবাই না করেই কাগজে-কলমে জবাই দেখানো হয়েছে। এভাবে গরুগুলো হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে।

এছাড়া ইমরান হোসেন ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা আয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর হিসাবে জমা রাখা হয়। এছাড়া মোহাম্মদপুর থানার রামচন্দ্রপুর সরকারি খাল ভরাট ও জবর দখল করে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও জানান, ইমরান ও তার চক্র কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার থেকে গরু ও মহিষ চোরাচালান করে বাংলাদেশে বিক্রি করতেন। এছাড়া ভুটান ও নেপাল থেকে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু চোরাচালান করে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি একরামুল হাবীব জানান, ইমরানের সহযোগী তৌহিদুল আলম জেনিথ এখনো গ্রেপ্তার হননি। তার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।


repoter