ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০১:০৪ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

পুতিনের ঘোষণা: ইউক্রেনে ৭২ ঘণ্টার একতরফা যুদ্ধবিরতি

repoter

প্রকাশিত: ০৮:০৬:২৮অপরাহ্ন , ২৮ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ০৮:০৬:২৮অপরাহ্ন , ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে ৭২ ঘণ্টার জন্য একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রুশ সেনারা ৭ মে মধ্যরাত থেকে ১০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত সকল রকমের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘মানবিক কারণেই’ এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়কালে সব ধরনের শত্রুতামূলক তৎপরতা বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে কিয়েভকেও এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে রাশিয়া সতর্ক করে বলেছে, যুদ্ধবিরতির সময় ইউক্রেনীয় বাহিনী কোনো ধরনের লঙ্ঘন করলে, রুশ সেনারা ‘যথাযথ ও কার্যকর জবাব’ দেবে।

এদিকে রাশিয়ার এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর ইউক্রেনে পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছিল। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়।

রাশিয়ার এই একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা নিয়ে ইউক্রেনের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আগে থেকেই ইউক্রেন রাশিয়ার ঘোষিত যেকোনো যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে। কিয়েভের অভিযোগ, রাশিয়া অতীতেও যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েও তা ভঙ্গ করেছে এবং আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চলমান সংঘাতে মানবিক বিরতির প্রস্তাব উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার একটি সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে ময়দানের বাস্তব পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তিত হয় তা নির্ভর করবে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়নের ওপর। বিশেষ করে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রুশ বাহিনীর অগ্রগতি এবং ইউক্রেনের প্রতিরোধ সক্ষমতার বিষয়গুলো এই যুদ্ধবিরতির পরবর্তী গতিপথ নির্ধারণ করবে।

এদিকে, রুশ মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধবিরতির এই সময়ে ইউক্রেনের দখলকৃত এলাকা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত কেবল মানবিক কারণে নয়, বরং যুদ্ধের কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের অংশও হতে পারে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত ও লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে ইউরোপীয় অঞ্চলজুড়ে জ্বালানি ও খাদ্য সংকটের প্রভাবও পড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

পুতিনের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা পরিস্থিতিতে সাময়িক স্বস্তি আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে স্থায়ী শান্তির জন্য রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই বলেই আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

repoter