ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৩:০৬ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

সেনাবাহিনী জাতির অহংকার: প্রধান উপদেষ্টা

repoter

প্রকাশিত: ১০:৩৬:৫৮অপরাহ্ন , ০৫ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ১০:৩৬:৫৮অপরাহ্ন , ০৫ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। রোববার রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় ৫৫ পদাতিক ডিভিশন আয়োজিত ‘সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন-২০২৪/২৫’-এর একটি পদাতিক ব্রিগেড গ্রুপের অনুশীলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জাতির অহংকার এবং বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনীর মূল মন্ত্র হলো ‘প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ।’ এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেনাসদস্যদের আভিযানিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তাদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, আভিযানিক দক্ষতা, সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্ব অর্জনে বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে আরও দক্ষ ও আধুনিক বাহিনী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে।

প্রধান উপদেষ্টা অনুশীলন স্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও যশোর অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম।

প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই অনুশীলনে সেনাবাহিনী অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাস্তবানুগ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে আক্রমণ অনুশীলন পরিচালনা করে। অনুশীলনে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন আধুনিক ট্যাংক, এপিসি, গোলন্দাজ বাহিনীর কামান, পদাতিক, ইঞ্জিনিয়ার্স, এবং কমান্ডো বাহিনী অংশ নেয়। এছাড়াও, মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান, আর্মি এভিয়েশনের বিমান এবং হেলিকপ্টার অংশগ্রহণ করে।

প্রধান উপদেষ্টা অনুশীলন শেষে তার সমাপনী বক্তব্যের শুরুতে মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। তিনি অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের দক্ষতা এবং উচ্চমানের প্রশিক্ষণের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

repoter