
ছবি: ফাইল ছবি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণী দিয়েছেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বাণী প্রকাশ করা হয়।
বাণীতে তারেক রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শহীদ হওয়া দেশের প্রথম সারির বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি শোষণমুক্ত, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁদের এই প্রত্যাশাকে বাস্তবায়ন করার পরিবর্তে স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পরিকল্পিতভাবে তাঁদের হত্যা করা হয়, যাতে স্বাধীন বাংলাদেশ মেধাশূন্য হয়ে পড়ে।
তারেক রহমান আরও বলেন, স্বাধীনতার পরপরই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের আসল রূপ প্রকাশ করে। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পথ অনুসরণ করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়। এক নদী রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্রমশ দুর্বল করে ফেলা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের পরিবর্তে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনের উত্তরসূরীরা জাতিকে বিভক্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে গুম, খুন, ক্রসফায়ারের মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এর ফলে জাতীয় ঐক্য এবং অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। হারানো আইনের শাসন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, এবং বহুমতভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ আমাদের প্রেরণার উৎস হতে পারে।
তারেক রহমান দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা একসঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলি। তিনি শহীদদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তাঁর বাণী শেষ করেন “আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” বলে।
repoter