ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০৩:১০ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

সিএ কর্মকর্তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় দুই গ্রেপ্তার

repoter

প্রকাশিত: ১০:৫০:৪৩অপরাহ্ন , ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ১০:৫০:৪৩অপরাহ্ন , ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) হাসান আলীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় মূল হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফারুক মিয়া সুমন ও আরিফ ইমরান খান।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানান।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হাসান আলী তার দুই সহকর্মী বাশার ও ইমাম হোসেনসহ তেজগাঁও রহমানস রেগনাম সেন্টার ভবনে অফিস থেকে বের হন। হাসান যখন অফিস থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি তাকে পিছু নেয়। কিছুক্ষণ পর ৮ থেকে ১০ জন লোক তাকে ঘিরে ধরে এবং মারধর শুরু করে। ওই সময় হাসানের পকেটে ১৯৩ পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানকে থানায় নিয়ে আসে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ফারুক মিয়া সুমন এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূল হোতা আরিফ ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অফিস সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সহকর্মী আরিফ ইমরান হাসান আলীকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে। সাবেক গাড়িচালক ফারুককে পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে সে এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, "ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এর সঙ্গে পুলিশের কেউ জড়িত নয়। মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের একজন আদালতে নিজের দায় স্বীকার করেছে।"

ভুক্তভোগী সিএ কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, "আমার সহকর্মীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়। বিনা অপরাধে আমাকে সাত দিন কারাভোগ করতে হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি আমি জামিনে মুক্ত হই।"

repoter