ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ১২:৩৫ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

স্ত্রী ও ভাইসহ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে ৪১ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা

repoter

প্রকাশিত: ০৭:০৬:৫৮অপরাহ্ন , ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৭:০৬:৫৮অপরাহ্ন , ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

সাবেক গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার এবং তার ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ৪১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ অবৈধভাবে ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং তার ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলাগুলোর আওতায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-এর ২৭(১) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের অবৈধ সম্পদের উৎস, সম্পদ অর্জনের প্রক্রিয়া এবং তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির সাথে অর্জিত সম্পদের অসামঞ্জস্য নিয়ে তদন্তের ভিত্তিতে মামলাগুলো করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে আসামিরা তাদের আর্থিক সচ্ছলতার বাইরে গিয়ে সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয়নি।

মামলাগুলোর বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, “অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক সবসময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এই মামলাগুলো তারই একটি উদাহরণ।”

এদিকে, আসামিদের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, মামলাগুলোর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে বলে জানা গেছে। দুর্নীতির এই মামলাগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মামলাগুলোর ফলাফল দেশের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

দুদক আরও জানায়, মামলার অংশ হিসেবে আসামিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। একই সঙ্গে, তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার এবং অন্যান্য অপরাধেরও তদন্ত চলছে। দেশের আইনি কাঠামোর মধ্যে দুর্নীতির দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে দুদক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

repoter