ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০১:৫৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

ট্রাম্পের ঘোষণার পর সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ড পাঠাল মেক্সিকো

repoter

প্রকাশিত: ০৬:১২:৪২অপরাহ্ন , ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৬:১২:৪২অপরাহ্ন , ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর একদমই দেরি করেনি মেক্সিকো। দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শিনবাউম কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করেছেন।

এর আগে, সীমান্তে মাদকের চোরাচালানের অভিযোগে মেক্সিকো সরকারকে দোষারোপ করেছিলেন ট্রাম্প, এবং মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন।

সোমবার, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মেক্সিকো প্রেসিডেন্ট শিনবাউম। উভয় নেতার মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছানো হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, মেক্সিকোর পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে না, তবে মেক্সিকোকে সীমান্ত সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করতে হবে। এরপরই শিনবাউম সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেন।

মেক্সিকোতে সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি, কারণ সীমান্তরক্ষীদের অস্ত্র বহন করার অনুমতি নেই। তাই অবৈধ অভিবাসী ও মাদকের চোরাচালান ঠেকাতে মেক্সিকো সেনাবাহিনী ও ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের ওপর নির্ভর করছে। এই বাহিনী মাত্র কয়েক বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল, এবং সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অধীনে নেয়া হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, শিনবাউম সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ডের অতিরিক্ত ১০ হাজার সদস্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে কিছু সদস্য সীমান্ত এলাকায় পৌঁছেছে। তাদের কাজ হবে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের চোরাচালান বন্ধ করা, বিশেষত ফেন্টানিলের মতো মাদক।

২০১৯ সালে, ট্রাম্পের চাপাচাপিতে মেক্সিকোর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওবরাদোর গুয়েতেমালার সাথে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করেছিলেন। বর্তমানে এই বাহিনীকে উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত সুরক্ষিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে মাদকের চোরাচালান রোধ করা যায়।

তবে সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য মোতায়েন করার ফলে মেক্সিকোর অন্যান্য অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সমালোচকরা। ২০১৯ সালে এই বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় অপরাধ দমন ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। তবে, গেল সেপ্টেম্বর মাসে আইন সংশোধন করে বাহিনীকে সেনাবাহিনীর অধীনে নিয়ে আসা হয়, যা সমালোচনার জন্ম দেয়।

repoter