ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০১:৪১ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

ট্রাম্পের মানচিত্রে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অংশ

repoter

প্রকাশিত: ০৪:৫০:৪৩অপরাহ্ন , ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৪:৫০:৪৩অপরাহ্ন , ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হিসেবে সংযুক্ত করার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) তিনি তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত দেখিয়ে একটি মানচিত্র শেয়ার করেন। এতে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ হিসেবে দেখানো হয়।

ট্রাম্প তার পোস্টে দাবি করেন, অনেক কানাডীয় নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে পছন্দ করবেন এবং এটি দুই দেশের জন্য লাভজনক হবে। তবে তার এই বক্তব্যের সঙ্গে আবারও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দ্বিমত পোষণ করেন।

ট্রুডো বলেছেন, কানাডা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের বৃহৎ বাণিজ্যিক এবং নিরাপত্তা সহযোগী। দুই দেশের সমাজ এবং কর্মীদের জন্য এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে এ সম্পর্ক কখনো একটি দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশ একীভূত করার মতো হতে পারে না।

ট্রাম্প তার পোস্টে আরও দাবি করেন, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি বিষয়ক সমস্যা সমাধানে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “জাস্টিন ট্রুডো এটি জানতেন, তাই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) জাস্টিন ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তবে দলীয় নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার দায়িত্ব পালন করবেন। লিবারেল পার্টির জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার কারণে দলীয় আইনপ্রণেতাদের চাপের মুখে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রুডো এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, “কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অংশে পরিণত করার কোনো সুযোগ নেই। দুই দেশের কর্মী এবং জনগণের মধ্যে সহযোগিতা লাভজনক হলেও কানাডার সার্বভৌমত্ব অটুট থাকবে।”

কানাডার জনগণও ট্রুডোর এই অবস্থানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। অনেকে ট্রাম্পের মন্তব্যকে 'উদ্ভট' এবং 'অযৌক্তিক' বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে ট্রাম্পের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার এমন মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও রয়টার্স।

repoter