ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০১:৫৪ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন

repoter

প্রকাশিত: ১২:৪৫:৩৬অপরাহ্ন , ১১ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ১২:৪৫:৩৬অপরাহ্ন , ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ফাইল ছবি

ছবি: ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির অন্তত চার ডজন নেতা চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে তৎপরতা চালাচ্ছেন। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারা। দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার পাশাপাশি নিজ নিজ বলয়কে শক্তিশালী করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন এসব নেতা। তবে এ প্রচেষ্টার মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও প্রকট হচ্ছে। কখনো কখনো তা সংঘাতের রূপ নিচ্ছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, "স্বৈরাচারী সরকারের বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা আশা করছি, স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে আগামীতে দেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবেন। বড় একটি দল হিসেবে বিএনপিতে প্রতিটি আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকা স্বাভাবিক। তবে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।"

চট্টগ্রামের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, মামলা-হামলার ভয়ে নিষ্ক্রিয় থাকা সিংহভাগ নেতাকর্মী ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নিষ্ক্রিয় থাকা অনেক বিএনপি নেতা নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখেই মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগের অনুকূলে থাকা চট্টগ্রামের রাজনীতির চিত্রও বদলে গেছে। বর্তমানে অনেক এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় এবং কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের দখলে থাকা এই আসনে বর্তমানে তার অনুগামীরা কোণঠাসা।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সরোয়ার আলমগীর, আজিম উল্লাহ বাহার, বিচারপতি ফয়েজি, এবং কাদের গণি চৌধুরী। সরোয়ার আলমগীর এবং আজিম উল্লাহ বাহার নিয়মিত কর্মসূচি চালিয়ে মাঠে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করছেন।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশা, এবং মিল্টন ভূঁইয়া আলোচনায় রয়েছেন। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আসলাম চৌধুরী একক নেতৃত্বে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এস এম ফজলুল হক, মীর হেলাল, এবং সাকিলা ফারজানা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তারা সক্রিয় কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে গোলাম আকবর খোন্দকার এবং গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। এই দ্বন্দ্বের ফলে গত পাঁচ মাসে প্রায় অর্ধশত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী, কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, এবং আবু আহমেদ হাসনাত। তিনজনেরই এলাকায় শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তি রয়েছে।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-কর্ণফুলী) আসনে এরশাদ উল্লাহ এবং আবু সুফিয়ান মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী মীর মো. নাসির উদ্দিন, শামসুল আলম, এবং আবুল হাশেম বক্কর।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং আবদুল্লাহ আল নোমানের নাম আলোচনায় রয়েছে। এছাড়া, নোমানের পুত্র সাঈদ আল নোমানকেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একক আধিপত্য রয়েছে। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে গাজী শাহজাহান জুয়েল এবং এনামুল হক এনাম মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তাদের মধ্যে সংঘর্ষের অতীত ইতিহাস রয়েছে।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সরওয়ার জামাল নিজাম, মোস্তাফিজুর রহমান, লায়ন হেলাল উদ্দিন, এবং আলী আব্বাস সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে মহসিন জিল্লুর করিম, মিজানুল হক, এম এ হাশেম রাজু, এবং নুরুল আনোয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনে শেখ মহিউদ্দিন, মুজিবুর রহমান, নাজমুল মোস্তফা আমিন, এবং জামাল হোসেন সম্ভাব্য প্রার্থী।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর দুই ছেলে জহিরুল ইসলাম এবং মিশকাতুল চৌধুরীসহ কামরুল ইসলাম হোসাইনী এবং লেয়াকত আলী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে নতুন ভোটার হয়েছেন ৮৭,৩৬৩ জন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫,৫৭,২২৫ জন।

repoter